Top Local Places

প্রতিদিন একটি করে হাদীস শিখুন

Chittagon port area, None, Italy
Media/news/publishing

Description

ad

আমরা চেষ্টা করব হাদীস ত্ত দ্বীন নিয়ে আলোচনা করতে...........

RECENT FACEBOOK POSTS

facebook.com

Timeline Photos

বলতে পারেন কোথায় এটা???

Timeline Photos
facebook.com

■ ঘটনা টি পড়ে দেখুন ! জানার আছে অনেক কিছুই মালেক বিন দীনার ছিলেন ইরাকের বিখ্যাত এক আলেম। একবার তিনি বিশাল এক মাহফিলে বক্তব্য দিতে দাঁড়াতেই এক শ্রোতা বললেন, আপনার বক্তব্য শুরু করার আগে একটি প্রশ্নের জবাব দিন। মালেক বিন দীনার প্রশ্ন করার অনুমতি দিলেন। বয়স্ক শ্রোতা বললেন প্রায় দশ বছর আগে আপনাকে মাতাল অবস্হায় পড়ে থাকতে দেখেছি। আপনি সে অবস্হা থেকে কিভাবে ফিরে এলেন? এবং ওয়াজ করার জন্য এখানে এলেন ? মালেক বিন দীনার কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে রইলেন। তারপর বললেন। ঠিক বলেছেন, আমিই সেই ব্যক্তি। শুনুন তাহলে আমার কাহিনী- এক কদরের রাতে মদের দোকান বন্ধ ছিলো দোকানীকে অনুরোধ করে এক বোতল মদ কিনলাম বাসায় খাবো এই শর্তে। বাসায় ঢুকলাম। ঢুকেই দেখি আমার স্ত্রী নামায পড়ছে।আমি আমার ঘরে চলে গেলাম। টেবিলে বোতলটা রাখলাম।আমার তিন বছরের শিশু মেয়েটা দৌড়ে এলো। টেবিলে সাথে ধাক্কা খেলো আর মদের বোতলটি পড়ে ভেঙে গেলো। অবুঝ মেয়েটি খিলখিল করে হাসতে লাগলো। ভাঙা বোতল ফেলে দিয়ে আমি ঘুমিয়ে গেলাম। সেরাতে আর মদ খাওয়া হলোনা। পরের বছর আবার লাইলাতুল ক্বদর এলো। আমি আবার মদ নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম।বোতলটা টেবিলে রাখলাম। হঠাৎ বোতলের দিকে তাকাতেই বুক ভেঙে কান্না এলো। তিন মাস হলো আমার শিশু কন্যাটি মারা গেছে । বোতলটা বাইরে ফেলে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। স্বপ্নে দেখছি এক বিরাট সাপ আমায় তাড়া করছে। এতো বড়ো মোটা সাপ আমি জীবনে দেখিনি। আমি ভয়ে দৌড়াচ্ছি। এমন সময় এক দুর্বল বৃদ্ধকে দেখলাম। বৃদ্ধ বলল, আমি খুব দুর্বল এবং ক্ষুধার্ত। এ সাপের সাথে আমি পারবোনা। তুমি এই পাহাড়ের ডানে উঠে যাও। পাহাড়ে উঠেই দেখি দাউ দাউ আগুন জলছে। আর পেছনেই এগিয়ে আসছে সাপ। বৃদ্ধের কথা মতো ডানে ছুটলাম। দেখলাম সুন্দর এক বাগান। বাচ্চারা খেলছে। গেটে দারোয়ান। দারোয়ান বললো, বাচ্চারা দেখতো এ লোকটিকে? একে সাপটা খেয়ে ফেলবে নয়তো আগুনে ফেলে দেবে। দারোয়ানের কথায় বাচ্চারা ছুটে এলো। তার মাঝে আমার মেয়েটাও আছে। মেয়েটা আমায় ডান হাত জড়িয়ে রেখে তার বাম হাতে সাপটাকে থাপ্পর দিলো। অমনি সাপ চলে গেলো। আমি অবাক হয়ে বললাম, মা তুমি কত ছোট আর এত বড় সাপ তোমায় ভয় পায়? মেয়ে বললো, আমি জান্নাতি মেয়ে, জাহান্নামের সাপ আমাদের ভয় পায়। বাবাঐ সাপকে তুমি চিনতে পেরেছো? আমি বললাম না মা। আমার মেয়ে বললো বাবা ওতো তোমার নফস। নফসকে এতো বেশী খাবার দিয়েছো যে সে এমন বড় আর শক্তিশালী হয়েছে। সে তোমাকে জাহান্নাম পর্যন্ত তাড়িয়ে এনেছে। বললাম, পথে এক দুর্বল বৃদ্ধ তোমাকেএখানে আসার পথ বলে দিয়েছে। সে কে? মেয়ে বললো, তাকেও চেনোনি? সে তোমার রুহ। তাকেতো কোনদিন খেতে দাওনি। তাই না খেয়ে দুর্বল হয়ে কোনো মতে বেঁচে আছে। আমার ঘুম ভেঙে গেলো। সেইদিন থেকে আমার রূহকে খাদ্য দিয়ে যাচ্ছি আর নফসের খাদ্য একদম বন্ধ করে দিয়েছি। চোখ বুঝলেই নফসের সেই ভয়াল রূপ দেখতে পাই।আর দেখি রূহকে। আহা কতো দুর্বল হাঁটতে পারেনা। ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন মালিক বিন দীনার । তাই আসুন, নিজের নফস কে হেফাজত করি । নয়তো চিরস্থায়ী ঠিকানা হবে জাহান্নাম। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন....আমিন। দয়া করে ঘটনাটি শেয়ার করতে ভূলবেন না ।

facebook.com

মসজিদে জামাতে ফজর নামাজ পড়ার জন্য এক ব্যাক্তি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে উযূ করে মসজিদে যাচ্ছে। মাঝ পথে সে পা পিছলিয়ে পড়ে গেল। তার কাপড় নষ্ট হয়ে গেল। সে বাসায় ফিরে এসে কাপড় বদলিয়ে আবার উযূ করে মসজিদের দিকে রওয়ানা দিল। মাঝ পথে আবার সে পা পিছলে পড়ে গেল। তার কাপড় ময়লা হয়ে গেল।সে আবার বাসায় গেল কাপর বদলিয়ে উযূ করে মসজিদের দিকে রওয়ানা দিল। মাঝ পথে আসতে লন্ঠন হাতে এক লোকের সাক্ষাত পেল। লোকটিকে সে জিজ্ঞাস করল, আপনি কে? সে উত্তরে বলল, আমি আপনাকে দুবার পড়ে যেতে দেখলাম তাই ভাবলাম মসজিদে যাওয়ার জন্য আমি আপনার প্রদীপের ব্যবস্থা করে দেই। লোকটি লন্ঠন হাতে তাকে মসজিদ পর্যন্ত এগিয়ে দিল। তাকে ইনি বললেন, চলুন নামায পড়ে নেই। লোকটিকে নামায পড়ার জন্য বারংবার বলার পর ও অনেক পীড়াপীড়ি করার পরও লোকটি নামাজ পড়ল না।তখন তাকে জিজ্ঞাস করলঃ আপনি নামায পড়া পছন্দ করেন না, বলুন তো আপনি কে? লোকটি উত্তরে বলল, আমি শয়তান। আমিই আপনাকে ১ম বার পা পিছলিয়ে ফেলে দিয়েছিলাম যাতে মসজিদে নামায না পড়ে আপনি বাড়ী ফিরে যান। কিন্তু আপনি যখন পা পিছলে পড়ে যাওয়ার পর বাড়ীতে গিয়ে ফিরে আসলেন তখন আল্লাহ তায়ালা আপনার সব গোনাহ ক্ষমা করে দিলেন। দ্বিতীয়বার যখন আপনি পড়ে যাওয়ার পর বাড়ীতে গিয়ে কাপড় বদলিয়ে আবার মসজিদের দিকে রওয়ানা দিলেন, তখন আল্লাহ তায়ালা আপনার পরিবারের সবার গোনাহ ক্ষমা করে দেন। এরপরও যখন পড়ে গিয়ে আপনি বাড়ী থেকে কাপড় বদলিয়ে মসজিদে আসছিলেন, তখন আমি ভয় পাচ্ছিলাম, না জানি আল্লাহ তায়ালা এবার আপনার গ্রামবাসীকে ক্ষমা করে দেন। তাই তাড়াতাড়ি আমি লন্ঠন হাতে আপনাকে মসজিদে পৌছে দিয়ে গেলাম। আল্লাহু আকবার........!!! হে আল্লাহ তুমি আমাদের নিয়মিত ঈমামেরর পিছনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন ...আমিন

facebook.com

একজন আলিমা বোনকে সাহায্যের জন্য আল্লাহর জন্যই এগিয়ে আসতে পারি আমরা। তিনি দাওরায়ে হাদিস কমপ্লিট করেছেন। পাশাপাশি দাখিল পাসও করেছেন। ওনারা তিন বোন ও দুই ভাই। ভাইয়েরা সব ছোট। স্বামীকে হারিয়েছেন বিয়ের কিছুদিনের মাঝেই। বাবাও নেই এখন। বাবাও একজন আলিম ছিলেন। বাবার রেখে যাওয়া যা কিছু ছিল তা দিয়েই এতদিন উওনাদের সংসার চলতো। এখন কেউ দিলে কিছু খান, নাহলে ওনারা উপোস থাকেন। ইনকাম সোর্স বলে কিছু নেই উনাদের। তিনি কিছু হাতের কাজ করেন যেমন ল্যাম্প, ক্যালিগ্রাফি ইত্যাদি। এটা দিয়ে অল্প যা আয় হয় তা দিয়েই উনাদের চলতে হয়। তাও সবসময় যে বিক্রি করতে পারেন তাও না। বাবা চলে যাওয়ার পর ওনাদের ফ্যামিলির উপর ২ লাখ টাকা ঋণের বোঝা নেমে আসে। যেখানে নিজেরাই চলতে পারছেন না সেখানে এতো বড় ঋণ পরিশোধ করা ওনাদের পক্ষে এক কথায় অসম্ভব। আর ছোট দুই ভাইও এখন ইনকাম করা শুরু করেনি। বোন ৩ জন সকলের বড়। এই দুঃসময়ে আত্মীয়স্বজন সবাই দূরে সরে গেছে। কেউ ফিরেও তাকায় না। একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আলেমা কতোটা অসহায় হলে নিজেদের অভাবের কথা আরেকজনকে বলতে পারেন তা কি আমরা ভাবতে পারি? আমাদের খাওয়ার টেবিলে কয়েক আইটেম না হলে চলেই না। রেস্টুরেন্টে গিয়ে হাজার হাজার টাকা উড়াতেও আমাদের গায়ে লাগে না। কিছুদিন পর পর ড্রেস কেনার পেছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ফেলি অবলীলায়। মাসজিদে এসি লাগানোর মতো বিলাসি কাজে টাকা খরচের চেয়ে এরা কি আমাদের সাহায্য পাওয়ার বেশি উপযুক্ত নয়? হাশরের ময়দানে আল্লাহ তা'আলা যদি প্রশ্ন করেন, আমার এক বান্দা তোমাদের কাছে শত লজ্জা সত্বেও সাহায্য চাইতে বাধ্য হয়েছিল আর তখন তোমরা কী করেছিলে? আমরা কী জবাব দিবো তখন আমাদের মালিকের কাছে? উত্তরাতে থাকেন তিনি। উত্তরার দিকে কোন ইসলামিক স্কুল বা মহিলা মাদ্রাসায় যদি শিক্ষিকা হিসেবে ওনার জন্য কোন সুযোগ করে দেয়া যায়, তাহলে ওনার একটা স্থায়ী ব্যবস্থা হয়ে যেত। এই বোনের ব্যাপারে সব তথ্য যাচাই করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্। তাই যেসব ভাইবোনেরা আল্লাহর জন্যই সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেন তাদের দানের অর্থ ইন'শা'আল্লাহ সঠিক স্থানেই খরচ হবে। -------------- # আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে যোগাযোগ করুন - 01833075461 সাহায্য পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বর - 017 44 111 111 (Personal) 01 700 800 900 (Personal) ব্যাংক একাউন্ট : Account Name: Siddique Muhammad Rizwanul Kabir Account No: 1535202260926001 Current Account, BRAC Bank Ltd.

facebook.com

"যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে চলতে অবশ্যই বাধা দেয়, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সঠিক পথে রয়েছে।" - সূরা যুখরুফ, আয়াত: ৩৬-৩৭

facebook.com

"রাগ কন্ট্রোল" রিলেটেড খুব মজার একটা টপিক। পড়ে দেখতে পারেন! smile emoticon এক মূহুর্তের রাগ, সারা জীবনের কান্না। আল্লাহ্ ﷻ বলেছেন – “তোমরা রাগকে গিলে ফেলো” (সূরা আলে ইমরান:১৩৪)। রাগ যদি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় তাহলে রাগের মাথায় আমরা এমন কিছু করে বসতে পারি, বা বলে বসতে পারি যার জন্য আজীবন অনুশোচনা করতে হবে। রাগ-নিয়ন্ত্রণ তাই অতীব গুরুত্বপূর্ন একটি স্কিল। এই লেখায় আমি রাগ-সংক্রান্ত ৪টি হাদিস শেয়ার করব, এই চারটি হাদিস থেকে দেখব কেউ যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে রাগিয়ে দেয়ার মতো আচরণ করতেন, তখন তিনি ﷺ কিভাবে তা হ্যান্ডল করতেন। ১) আনাস(রা) ছিলেন ৭-৮ বছরের ছোট্ট একটা ছেলে। আনাস(রা) এর মা, আনাস(রা)কে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে গিফট করেছিলেন তাঁর সেবা করার জন্য। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বিভিন্ন ছোট-খাটো কাজ করে দিতেন আনাস(রা); যতটা না কাজ করতেন তারচেয়ে বেশী দুষ্টামীই করতেন! একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ আনাসকে (রা) একটা কাজে বাইরে পাঠালেন। যাওয়ার পথে রাস্তার মধ্যে আনাস(রা) কিছু ছেলেকে দেখলেন তারা খেলা করছে। তাদেরকে দেখে কাজের কথা ভুলে ছোট্ট আনাসও (রা) খেলায় মজে গেলেন। খেলার ঘোরে কতক্ষণ কেটে গেছে আনাসেরও আর খেয়াল নাই, এমনি এক সময় আনাস(রা) হঠাৎ ফিল করলেন বিশাল সাইজের কোন এক খেলোয়াড় তাকে পেছন থেকে ঘাড় চেপে ধরেছে! আনাস(রা) মাথা ঘুরিয়ে দেখেন – একি! এ যে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ এক মুখ হাসি নিয়ে উপস্থিত! রাসূলুল্লাহ ﷺ আনাস(রা)কে জরুরী কোন কাজেই কিন্তু পাঠিয়েছিলেন। অনেক সময় পার হওয়ার পরেও আনাস(রা) যখন ফিরলেন না, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য রেগে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তিনি আনাস(রা) এর উপর তো রাগলেনই না, বরং প্র্যাক্টিকাল জোক করলেন! আমাদের সাথে যখন রেগে যাওয়ার মতো কিছু ঘটে, তখন লক্ষ্য করলে আমরা দেখব ঘটনাটার একটা হিউমেরাস দিকও আছে। আমাদের উচিত হবে ঘটনার রাগের অংশটি উপেক্ষা করে হিউমেরাস অংশটির দিকে মনযোগ দেয়া। টিপস#১: রাগকে হিউমার দিয়ে পরিবর্তন করুন। ২) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রীদের মধ্যে আয়েশা(রা) খুব ভালো রান্না করতে পারতেন না। রান্নার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন সাফিয়াহ(রা) ও উম্মে সালামাহ(রা)। একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন অন্য সাহাবাদের নিয়ে আয়েশার(রা) ঘরে বসে আলাপ করছিলেন, তখন উম্মে সালামাহ(রা) তাঁর রান্না করা খাবার নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলেন। এতে আয়েশা (রা) ভীষণ জেলাস ফিল করলেন! ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে – আমার রান্না কি এতই খারাপ যে অন্য ঘর থেকে খাবার আনতে হবে? আয়েশা(রা) রেগে গিয়ে এক বাড়িতে খাবারের প্লেটটাই ভেঙ্গে ফেললেন! ভেবে দেখুন, অতিথির সামনে আপনার স্ত্রী যদি এমন আচরণ করে বসে তো আপনি কি করবেন? একটু হলেও হয়তো “উফ” বলে উঠবেন। অন্তত এটুকু হয়তো বলে উঠবেন – “একি! এটা কি করলে তুমি?” রাসূলুল্লাহ ﷺ সেরকম কিছু বললেন না। ভেঙে যাওয়া প্লেট এর টুকরোগুলো কুড়াতে কুড়াতে বাকী সাহাবাদেরকে বললেন – “তোমরা তোমাদের খাবার খেয়ে নাও”। তারপর তিনি ﷺ বাকী সাহাবাদের সামনে আয়েশা(রা) কে প্রোটেক্ট করার সুরে বললেন “তোমাদের মা জেলাস ফিল করেছেন।” রাসূলুল্লাহ ﷺ এমনভাবে কথাটা বললেন যে – এটাতো কোন ব্যাপারই না, সব মানুষই তো কম-বেশী জেলাস ফিল করে। শুধু তাই না – তিনি সাহাবাদের মনে করিয়ে দিতে চাইলেন আয়েশা(রা) এর মর্যাদা, তাই তিনি আয়েশা(রা) কে নাম ধরে না ডেকে “তোমাদের মা” বলে সম্বোধন করেছেন । টিপস#২: কেউ রেগে গেলে তার প্রতি পাল্টা রাগ না করে তাকে প্রোটেক্ট করুন। ৩) একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ দেখলেন এক মহিলা কবরের সামনে বেজায় কান্নাকাটি করছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন – “আল্লাহকে ﷻ ভয় করো এবং ধৈর্য্য ধরো।” মহিলা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে চিনতে না পেরে রেগে-মেগে বলে উঠলো – “যান এখান থেকে! আমার মত বিপদ তো আর আপনার হয়নি!” জবাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ রেগে গেলেন না, তাকে আরেকবার বুঝানোর চেষ্টাও করলেন না, বললেন না – “আমি হলাম আল্লাহ্র ﷻ রাসূল, আর আমার মুখে মুখে কথা!”, অথবা বললেন না- “আমি বললাম ভালো কথা আর তুমি কি না আমার সাথে এমন ব্যবহার করলে!” না, তিনি এরকম কিছুই করলেন না। তিনি চুপচাপ কিছু না বলে সেই স্থান থেকে চলে গেলেন। টিপস#৩: রেগে থাকা মানুষকে বুঝাতে যাবেন না, সে বুঝবে না। তাকে শান্ত হওয়ার জন্য সময় দিন। ৪) রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যে ব্যক্তি তর্ক করা ছেড়ে দিবে, সে যদি ভুলের পক্ষেও হয় তবুও সে জান্নাতের প্রান্তে বাড়ী পাবে। আর যে ব্যক্তি সঠিক হওয়ার পরেও তর্ক ছেড়ে দিবে, সে জান্নাতের মাঝখানে বাড়ী পাবে। আর যে ব্যক্তি নিজের চরিত্রের উন্নয়ন করবে সে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে বাড়ী পাবে।” ভেবে দেখুন – কি লাভ আরেকজনের সাথে তর্কাতর্কি করে, রাগারাগি করে, নিজের মেজাজ খারাপ করে, যুক্তির উপর যুক্তি তৈরী করে শুধুই এটা প্রমাণ করা যে “আমি সঠিক, তুমি ভুল”? এর মাধ্যমে না পাওয়ার যায় নিজের মনে শান্তি, না করা যায় অন্যের মন জয়। তারচেয়ে চুপ করে থেকে অন্যের ভুল উপেক্ষা করে নিজের জন্য জান্নাতে একটা বাড়ী নির্মান করা কি বুদ্ধিমানের কাজ না? টিপস#৪: রাগ করার মত কারণ থাকা সত্ত্বেও তা ছেড়ে দিন, আর আল্লাহর ﷻ কাছে প্রতিদানের আশা রাখুন। পাদটীকা: ১) ইসলামে ব্যক্তিগত কারণে রাগ করার অনুমতি নেই। তবে যেসব কারণে আল্লাহ্ ﷻ ও তাঁর রাসূল ﷺ রাগ করেছেন (যেমন – কাউকে শিরক করতে দেখলে) সে সব কারণে রাগ করা বৈধ। তবে, এই রাগের বহিঃপ্রকাশও নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। ২) লেখাটি পড়ে মনে করবেন না আমি রাগ-নিয়ন্ত্রনে মাষ্টার, বরং উল্টোটা সত্য। লেখাটি আমি লিখেছি সবচেয়ে বেশী নিজেকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। এটা যদি অন্য কারো উপকারে আসে তো আলহামদুলিল্লাহ! (রেফারেন্স: হাদিস১: মুসলিম ২৩১০ , হাদিস২: সুনান আন-নাসাঈ ৩৯৭৩, হাদিস৩: বুখারী ১২২৩, হাদিস৪: তিরমিযী) [ পুরো লেখাটাই সংগৃহীত, এ নিয়ে বিভ্রান্তি অনাবশ্যক ]

facebook.com

Quiz